শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

এরিয়া-৫১ রহস্যময় দুনিয়া !

এরিয়া-৫১ রহস্যময় দুনিয়া !


আমি রহস্যপ্রিয় হওয়ায় পৃথিবীর রহস্যময় ও বিতর্কিত স্থান নিয়ে রয়েছে আমার কৌতুহল।পৃথিবীর সেরা রহস্যময় স্থানগুলো নিয়ে লেখাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চিন্তা আছে আমার। আজকে আলোচনা করব আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সামরিকঘাটি এরিয়া৫১ নিয়ে। বিতর্কিত এ স্থাপনাটি সম্পর্কে কমবেশী সবাই মনে হয় জানেন।এ স্থাপনাটি লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিমি দুরে "গ্রুম" লেকের পাশে অবস্থিত। দুর্ভেদ্য বেষ্টনীতে ঘেরা এ ঘাটির প্রবেশপথে লেখা আছে অনধিকার প্রবেশকারীকে গুলি করা হতে পারে। আজপর্যন্ত বেসামরিক কেউ দাবী করেনি তিনি এরিয়া৫১ এ ঢুকেছেন। যদি কেউ ঢুকেও থাকেন তাহলে তিনি জীবিত আর বের হতে পারেন নি তা নিশ্চিত।তবে স্থাপনাটিকে বিতর্কিত ও রহস্যময় করে তোলার পিছনে আশপাশের বাসিন্দারাই দায়ী।তাদের অনেকের দাবী এরিয়া৫১ এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মত মত কিছু উড়তে তারা দেখেছেন।আবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন যার গতি সাধারন বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সাথেই মিলে না।তবে এসব বিতর্কের আগুনে ঘি ডেলেছেন এরিয়া৫১ এ কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজার । এক টিভি সাক্ষাৎকারে তার দাবী ওখানে এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিযে গবেষনা করা হয় যা এখনও আবিষ্কারের ঘোষনা দেওয়া হয় নি।তিনি অবশ্য কিছু ধোয়াটে বক্তব্য দিয়েছেন একটি মৌলিক পদার্থ নিয়ে।তারমতে সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকেই সম্ভবত একটি মৌল সংগ্রহ করা হয়েছে।যার মাত্র ২.২ পাউন্ড ৪৭টি ১০মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যথেষ্ট।ওখানে নাকি একটি সরল যন্ত্র আছে যা চাকতি আর বল দিয়ে তৈরী।যন্ত্রের বলের চিপে ঐ মৌলটি রাখা হলে সময়কে স্থির করে রাখতে পারে।তারা নাকি সময় স্থির করে রাখার পরীক্ষা চালিয়ে সফলও হয়েছেন। তার মতে ঐ মৌলপদার্থটি বলের চিপে রাখামাত্র তা কোনএকভাবে অ্যান্টিম্যাটার তৈরী করে এবং তারফলে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়।অ্যার্টিম্যাটার রিয়েক্টরে শক্তি উৎপাদনের ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তিতে তা বিদুৎবেগে ছুটতে পারে।এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকি ওখানে ফ্লাইং সসার তৈরীর গবেষনা চলছে। তবে বব সবচেয়ে বড় বোমা ফাটান এই বলে সেখানে নাকি এলিয়েন দের নিযে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক ফ্লাইং সসার আছে।ওখানে এলিয়েনটির ব্যবচ্ছেদ করে নাকি পাওয়া গেছে ঐ প্রাণীটি এসেছে রেটিকুলাম-৪ নামক জ্যোতিষ্ক থেকে।প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিনফুট শরীর রোমহীন কালো বড় বড় চোখ এবং শরীর কৃশকায়।দেহ ব্যবচ্ছেদ করে নাকি ফুসফুস ও হৃৎপিন্ডর বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে।
তবে এতসব বিতর্কই শেষ নয়। এরিয়া৫১ নিয়ে চলমান বিতর্কের সবচেয়ে বড়টি হল মানুষের চাদে যাওয়া নিয়ে নাটক।
মানুষত চাদে গিয়েছে এ নিয়ে নাটকের কি আছে? আপনারা হয়ত তা বলবেন।
কিন্তু দুনিয়াতে প্রচুর সন্দেহবাদী আছে(আমি নিজেও সেই তালিকায়।পুরা ব্যাপারটা আমার কাছে ধাপ্পাবাজি মনে হয়) যাদের ধারনা মানুষ চাদে কখন্ও যায়নি ।পুরো নাটকটি সাজানো হযেছে এই এরিয়া৫১ এর ভিতর।মজার ব্যাপার হচ্ছে এত বিতর্ক চললেও আমেরিকান সরকার এসব কোনোকিছুই স্বীকার করেনি আজপর্যন্ত।তাতে সন্দেহ না কমে বরং আরো বেড়েছে।

এরিয়া৫১ দুর থেকে



ঘাটিটির চারপাশে রয়েছে এমন অসংখ্য সতর্কবাণী সম্বলিত সাইনবোর্ড

ম্যাপ

বব লেজার

এই সেই এলিয়েন

মানষের চাদে পদার্পন নিয়ে দেখুন ব্যাঙ্গাত্বক ও পুজিবাদীর প্রতিবাদে করা একটি ছবি

1 টি মন্তব্য:

  1. ভাইয়া, আপনি কি লেখালেখি বাদ দিয়ে দিয়েছেন? নাকি অন্য কোনো ব্লগে লেখেন? আপনার মেইল এড্রেসটা খুঁজে পেলাম না। যদি কমেন্ট দেখে থাকেন, আমাকে প্লিজ একটা মেইল পাঠাবেন।
    rajaahmed559@gmail.com

    উত্তরমুছুন